অ্যাপশহর

Sawan 2022: ভক্তের প্রাণ রক্ষা করতে এখানে আসেন শিব, এই মন্দিরে ধুয়ে যায় সমস্ত পাপ

Shravana Month: শিব পুরাণে শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। ভারতের যে সমস্ত স্থানে শিব জ্যোতি-রূপে প্রকট হন, তা-ই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ নামে পরিচিত পায়। এই ১২টির মধ্যে অন্যতম জ্যোতির্লিঙ্গ হল নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। এই মন্দিরের গর্ভগৃহে শুধু মাত্র পুরুষরাই প্রবেশ করে পুজো করতে পারেন। নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের সঙ্গে জড়িত এর পৌরাণিক কাহিনি জেনে নিন এখানে।

Produced byপ্রিয়াঙ্কা রাম | EiSamay.Com 31 Jul 2022, 2:22 pm
Shravana 2022: নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ শিবের প্রধান বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম। গুজরাতের দ্বারকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এই জ্যোতির্লিঙ্গ অবস্থিত। শাস্ত্রে এই জ্যোতির্লিঙ্গের অদ্ভূত মহিমা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শিবকে নাগের দেবতা মনে করা হয়। নাগেশ্বর শব্দের অর্থ নাগের ঈশ্বর। নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে বসে শ্রদ্ধাসহ এর মাহাত্ম্য কাহিনি শুনলে সেই ব্যক্তি সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। দারুক নামক রাক্ষসের অত্যাচারের হাত থেকে নিজের ভক্তদের রক্ষা করতে এখানে আসেন মহাদেব। নাগেশ্বর মন্দিরের সঙ্গে জড়িত একটি পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে, যার মাধ্যমে এই জ্যোতির্লিঙ্গের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা যায়।
EiSamay.Com nageshwar
Dwadash Jyotilinga: শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম হল গুজরাটের নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ


Sawan 2022: শিবলিঙ্গ লঙ্কা নিয়ে যাচ্ছিলেন রাবণ, আজ সেটিই বৈদ্যনাথ ধাম! কী ভাবে?
নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের পৌরাণিক কাহিনি

পুরাণ অনুযায়ী শিবের অনন্য ভক্ত ছিলেন সুপ্রিয় নামক এক ব্যবসায়ী। সুপ্রিয় ধর্মাত্মা ও সদাচারী ছিলেন। তাঁর ভক্তি ও সদাচারীর কারণে দারুক নামক এক কাক্ষস রেগে যায়। রাক্ষস প্রবৃত্তির হওয়ায় শিবকে এক্কেবারেই পছন্দ করত বা দারুক। তাই সুপ্রিয়র ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজত সে।

একদা নৌকায় সওয়ার হয়ে সমুদ্র পথে কোথাও যাচ্ছিলেন সুপ্রিয়। তখনই দারুক রাক্ষস তাঁর ওপর আক্রমণ করে দেয়। সুপ্রিয়-সহ নৌকায় সওয়ার সমস্ত ব্যক্তির অপরহরণ করে নেয় দারুক। নিজের এলাকায় নিয়ে গিয়ে সকলকে বন্দি করে রাখে রাখে। কারাগৃহে বন্দি থেকেও সুপ্রিয়র শিব আরাধনা বন্ধ হয় না। নিজের সঙ্গীদেরও শিবের আরাধনার জন্য অনুপ্রাণিত করেন সুপ্রিয়। তাঁরা প্রত্যেকেই শিব ভক্তিতে মগ্ন হয়ে যায়।

Sawan 2022: ত্রিদেব একত্রে বাস করেন এই জ্যোতির্লিঙ্গে, দর্শনমাত্র দূর হয় পাপ
দারুক এ বিষয়ে জানতে পারলে রেগে যায় এবং কারাগৃহে পৌঁছয়। সে সময় সমস্ত ব্যবসায়ীরা পূজা ও ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। ধ্যানমগ্ন অবস্থাতেই সুপ্রিয়র ওপর নিজের ক্রোধাগ্নি বর্ষণ করতে শুরু করে দারুক রাক্ষস। কিন্তু সুপ্রিয় বিন্দুমাত্র বিচলিত না-হয়ে শিব ভক্তি করে যায়। শেষে নিজের অনুচরদের ব্যবসায়ীকে হত্যা করার নির্দেশ দেয় দারুক। হত্যার কথা শোনার পরও বিচলিত হন না সুপ্রিয়। নিজের ও নিজের সঙ্গীদের মুক্তির জন্য শিবের কাছে প্রার্থনা শুরু করেন সুপ্রিয়। ব্যবসায়ীর ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে সেই কারাগৃহেই জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে প্রকট হন মহাদেব। সুপ্রিয়কে আত্মরক্ষার্থে পাশুপাত-অস্ত্র দেন শিব। এই অস্ত্র দিয়েই রাক্ষস দারুক ও তাঁর অনুচরদের হত্যা করে দেন সুপ্রিয়।

Sawan 2022: শিবের ত্রিশূলের উপর গড়ে উঠেছে কাশী, বিশ্বনাথ জ্য়োতির্লিঙ্গের রহস্য জানেন?
তার পর থেকেই শিব এখানে বিরাজ করেন। শিবের এই জ্যোতির্লিঙ্গটি নাগেশ্বর নামে পরিচিত হন। উল্লেখ্য, নাগেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের গর্ভগৃহে শুধু মাত্র পুরুষরাই ধুতি পরে প্রবেশ করতে পারেন।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
প্রিয়াঙ্কা রাম
"প্রিয়াঙ্কা রাম সংবাদ জগতের সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্ত। বিভিন্ন মহলের সংবাদ ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের নানান প্রতিবেদন পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি তথ্যসমৃদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ। যা তাঁকে সংবাদ জগতে সম্মান ও জনপ্রিয়তা অর্জনে সাহায্য করেছে। ২০১০ সালে মিডিয়ায় তাঁর পথ চলা শুরু। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর সংবাদ পত্র ও বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত। নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ওপর ভর করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তিনি। জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ। প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষের একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত করে এই প্রাচীন বিজ্ঞানের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে পাঠকদের ওয়াকিবহাল করতে পেরেছেন। বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা এই সংস্থার জ্যোতিষ বিভাগে কাজ করছেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে সঠিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবাদ তাঁর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। ২০২২ সালের মে মাস এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষ বিজ্ঞানের নানান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত করে পাঠকদের সমৃদ্ধ করেছেন। সাম্প্রতিক তথ্য প্রদান ও নিজের বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতার জোরে পাঠকদের সামনে সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদ তুলে ধরছেন তিনি। অবসর সময়ে প্রিয়াঙ্কা বই পড়তে ও গান শুনতে ভালোবাসেন। এর মাধ্যমেই তিনি মানসিক শান্তি খুঁজে পান ও নিজেকে উৎসাহিত রাখেন।"... আরও পড়ুন

পরের খবর

ট্রেন্ডিং