Sri Ram: সীতাকে বিয়ে করতে হরধনু ভঙ্গ করেন রাম, এই স্থানে আজও পাবেন শিবের ধনুকের ভাঙা টুকরোর দর্শন
অযোধ্যায় মহাসমারোহে রামলালা বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল। এই সময়ে জেনে নেওয়া যাক রামের জীবনের একটি অত্যন্ত মাহাত্ম্য়পূর্ণ ঘটনা, হরধনু ভঙ্গ সম্পর্কে। শিবের এই ধনুক ভঙ্গ করার পর কী হল সেই ভাঙা টুকরোগুলোর? জেনে নিন।
রাম মন্দিরে অবশেষে ৫০০ বছর পর প্রতিষ্ঠিত হলেন শ্রীরাম। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাম নামের জোয়ারে ভেসে গেল গোটা দেশ। রামের মূর্তিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল তাঁর হাতে ধরা ধনুর্বাণ। প্রায় তাঁর সব ছবি ও মূর্তিতেই রামের হাতে ধরা বিরাট ধনুক দেখতে পাই আমরা। শ্রীরামচন্দ্র ছিলেন অসাধারণ ধনুর্বীর। সীতার স্বয়ম্বর সভাতেও হরধনু ভঙ্গ করেছিলেন তিনি। মহাদেবের সেই ধনু রামের হাতে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার পর কী হল সেই টুকরোগুলো? জানেন কি, আজও এই স্থানে হরধনুর ভাঙা টুকরো গচ্ছিত আছে বলে মনে করা হয়।
সীতার যখন স্বয়ম্বর আয়োজিত হয়, সেই সময় রাম ও লক্ষ্মণ ছিলেন গুরু বিশ্বামিত্রের কাছে। সীতার স্বয়ম্বরে উপস্থিত থেকে তাঁকে আশীর্বাদ করতে বিশ্বামিত্রকে আমন্ত্রণ জানান রাজা জনক। দুই প্রিয় শিষ্য রাম ও লক্ষ্মণকে নিয়ে জনকপুরী পৌঁছন বিশ্বামিত্র।
জনক রাজা স্বয়ম্বরে শর্ত রেখেছিলেন যে যিনি হরধনু তুলতে পারবেন, তাঁর সঙ্গেই সীতার বিয়ে দেবেন। স্বয়ম্বরে উপস্থিত অন্য কোনও রাজা পাহাড়ের মতো ভারী হরধনু তুলতে পারেন না। রামচরিত মানস অনুসারে, রাম কখন সবার অলক্ষ্য হরধনু তুলে ফেলেন, তা প্রথমে কেউ খেয়াল করেননি। এরপর ধনুকে গুণ পরিয়ে ছিলা টানতে রামের হাতের জোরে তিন টুকরো হয়ে ভেঙে যায় হরধনু। স্বয়ম্বরের শর্ত পূরণ করায় অযোধ্যায় রাজা দশরথের কাছে রাম ও সীতার বিয়ের জন্য অনুরোধ পত্র প্রেরণ করেন জনক।
মহাদেবে এই ধনুকের নাম পিনাক। দিবশিল্পী বিশ্বকর্মা এটি তৈরি করেছিলেন। রামায়ণ অনুসারে হরধনু একটি বিরাট লোহার বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল। এই লোহার ট্রাঙ্কের গায়ে আটটি বড় বড় চাকা লাগানো ছিল। ৫০০০ জন মিলে একসঙ্গে টেনে তবে এই ধনুক সরানো সম্ভব হত।
রামায়ণ অনুসারে রাম হরধনুকে ছিলা পরানোর সময়ই রামের হাতের জোরে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তিন টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মহাদেবের পিনাক। এর ফলে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল জুড়ে এক ভয়ংকর শব্দ হয়। এই তিন টুকরোর মধ্যে একটি টুকরো যায় আকাশে, একটি টুকরো যায় পাতালে এবং একটি টুকরো পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে। ধনুকের উপরের অংশ যায় স্বর্গে, নীচের অংশ যায় পাতালে এবং মাঝের অংশ থাকে মর্ত্যে। ধনুকের যে অংশটি মর্ত্যে থেকে যায়, সেটি নেপালের এক স্থানে গিয়ে পড়ে।
নেপালের ধনুষা ধাম
নেপালের এই স্থান পরিচিত ধনুষা ধাম নামে। জনকপুর থেকে অল্প দূরে এই ধনুষা ধাম অবস্থিত। এখনও বহু মানুষ এখানে এসে মহাদেবের ধনুকের ভাঙা টুকরোর আরাধনা করেন।
বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে দেবরাজ ইন্দ্র সমান ক্ষমতাশালী দুটি ধনুক তৈরি করে একটি মহাদেবকে দেন ও একটি দেন বিষ্ণুকে। হর ও হরিকে তিনি পরস্পর যুদ্ধ করার জন্য আহ্বান করেন, তাঁদের মধ্যে কে বেশি শক্তিশালী তা জানার জন্য। বিষ্ণু ও শিব এই যুদ্ধের জন্য উদ্যত হলে তখন আকাশবাণী হয় যে এই যুদ্ধ হলে সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন দুজনেই নিরস্ত হন এহং মহাদেব তাঁর ধনুকটি ছুঁড়ে মর্ত্যে ফেলে দেন। সেই ধনুক লাভ করেন লাভ করেন রাজা জনকের পূর্বপুরুষ দেবরথ।
সীতার স্বয়ম্বর
সীতার যখন স্বয়ম্বর আয়োজিত হয়, সেই সময় রাম ও লক্ষ্মণ ছিলেন গুরু বিশ্বামিত্রের কাছে। সীতার স্বয়ম্বরে উপস্থিত থেকে তাঁকে আশীর্বাদ করতে বিশ্বামিত্রকে আমন্ত্রণ জানান রাজা জনক। দুই প্রিয় শিষ্য রাম ও লক্ষ্মণকে নিয়ে জনকপুরী পৌঁছন বিশ্বামিত্র।
জনক রাজা স্বয়ম্বরে শর্ত রেখেছিলেন যে যিনি হরধনু তুলতে পারবেন, তাঁর সঙ্গেই সীতার বিয়ে দেবেন। স্বয়ম্বরে উপস্থিত অন্য কোনও রাজা পাহাড়ের মতো ভারী হরধনু তুলতে পারেন না। রামচরিত মানস অনুসারে, রাম কখন সবার অলক্ষ্য হরধনু তুলে ফেলেন, তা প্রথমে কেউ খেয়াল করেননি। এরপর ধনুকে গুণ পরিয়ে ছিলা টানতে রামের হাতের জোরে তিন টুকরো হয়ে ভেঙে যায় হরধনু। স্বয়ম্বরের শর্ত পূরণ করায় অযোধ্যায় রাজা দশরথের কাছে রাম ও সীতার বিয়ের জন্য অনুরোধ পত্র প্রেরণ করেন জনক।
৫০০০ জন মিলে টেনে আনে এই ধনুক
মহাদেবে এই ধনুকের নাম পিনাক। দিবশিল্পী বিশ্বকর্মা এটি তৈরি করেছিলেন। রামায়ণ অনুসারে হরধনু একটি বিরাট লোহার বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল। এই লোহার ট্রাঙ্কের গায়ে আটটি বড় বড় চাকা লাগানো ছিল। ৫০০০ জন মিলে একসঙ্গে টেনে তবে এই ধনুক সরানো সম্ভব হত।
রাম কত টুকরো করেন হরধনুর?
রামায়ণ অনুসারে রাম হরধনুকে ছিলা পরানোর সময়ই রামের হাতের জোরে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তিন টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মহাদেবের পিনাক। এর ফলে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল জুড়ে এক ভয়ংকর শব্দ হয়। এই তিন টুকরোর মধ্যে একটি টুকরো যায় আকাশে, একটি টুকরো যায় পাতালে এবং একটি টুকরো পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে। ধনুকের উপরের অংশ যায় স্বর্গে, নীচের অংশ যায় পাতালে এবং মাঝের অংশ থাকে মর্ত্যে। ধনুকের যে অংশটি মর্ত্যে থেকে যায়, সেটি নেপালের এক স্থানে গিয়ে পড়ে।
নেপালের ধনুষা ধাম
নেপালের এই স্থান পরিচিত ধনুষা ধাম নামে। জনকপুর থেকে অল্প দূরে এই ধনুষা ধাম অবস্থিত। এখনও বহু মানুষ এখানে এসে মহাদেবের ধনুকের ভাঙা টুকরোর আরাধনা করেন।
হরধনু কী ভাবে পান জনক রাজা?
বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে দেবরাজ ইন্দ্র সমান ক্ষমতাশালী দুটি ধনুক তৈরি করে একটি মহাদেবকে দেন ও একটি দেন বিষ্ণুকে। হর ও হরিকে তিনি পরস্পর যুদ্ধ করার জন্য আহ্বান করেন, তাঁদের মধ্যে কে বেশি শক্তিশালী তা জানার জন্য। বিষ্ণু ও শিব এই যুদ্ধের জন্য উদ্যত হলে তখন আকাশবাণী হয় যে এই যুদ্ধ হলে সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন দুজনেই নিরস্ত হন এহং মহাদেব তাঁর ধনুকটি ছুঁড়ে মর্ত্যে ফেলে দেন। সেই ধনুক লাভ করেন লাভ করেন রাজা জনকের পূর্বপুরুষ দেবরথ।