অ্যাপশহর

How To Become Rich: ভাগ্যে ধনী হওয়ার যোগ আছে? জানাবে আপনার শরীরের গঠন

How To Become Rich এই প্রশ্ন আমাদের সকলের মনেই রয়েছে। তবে জীবনে অর্থ উপার্জন করা আর না করা অনেকটাই ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। আপনি জীবনে কতটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তা আপনার শরীরের গঠন দেখে জানা যেতে পারে। দেখে নিন শরীরের গঠন দেখে কী ভাবে বুঝবেন যে আপনার জীবনে ধনী হওয়ার যোগ আছে কি না।

Produced byশ্রমণা গোস্বামী | Lipi 24 Mar 2022, 3:04 pm
How To Become Rich
EiSamay.Com rich1
How To Become Rich ধনী হওয়ার যোগ

শুধু কোষ্ঠি দেখেই নয়, বরং শরীরে গঠনও রাজযোগ সম্পর্কে জানিয়ে থাকে। সামুদ্রিক শাস্ত্রের জাতকভ্রমণ গ্রন্থ অনুযায়ী, শরীরের গঠন দেখে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যায়। এমন কী ব্যক্তির রাজযোগ আছে কী না, বা কবে রাজযোগ সৃষ্টি হবে, সে সবই জানা যায় ব্যক্তির শরীরের গঠন দেখে। উল্লেখ্য, মহিলার বাঁ দিকে ও পুরুষের ডান দিকে রাজযোগ সৃষ্টিকারী শুভ চিহ্ন দেখা দেয়।

* যে জাতকের বুক চওড়া, নাক লম্বা ও নাভি গভীর হয়, তাঁরা কম বয়সেই অসীম সাফল্য লাভ করে থাকেন। তাঁদের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হয়। এমন জাতকদের কাছে একাধিক সম্পত্তি থাকে ও নিজের পরিবারকে সুখে রাখে।

* যে জাতকদের পায়ের পাতায় অঙ্কুশ, কুণ্ডল বা চক্রের চিহ্ন থাকে, তাঁরা ভালো শাসক, বড় ব্যবসায়ী, আধিকারিক ও রাজনেতা হয়ে থাকেন।

* মহিলাদের বাঁ হাতের মাঝখানে তিল, ধ্বজা, মাছ, বীণা, চক্র বা পদ্মের মতো আকৃতি থাকে, তাঁদের লক্ষ্মীর সমান মনে করা হয়। এমন মহিলা যেখানেই যান না-কেন, সেখানে অর্থ ও আনন্দ নিয়ে আসেন।

কী কারণে কোষ্ঠিতে সৃষ্টি হয় বৈধব্য যোগ? জানুন মুক্তির উপায়
* যে পুরুষের হাত বা পায়ে মাছ, অঙ্কুশ বা বীণার চিহ্ন থাকে, তাঁরা কম সময়ে অর্থ ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করে নেন।

* জাতকের হাতের মাঝখানে তিল থাকলে, তাঁরা অত্যন্ত ধনী ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হন। হাত ছাড়াও যে জাতকদের পায়ের পাতায় তিল, চন্দ্র বা গাড়ির মতো কোনও চিহ্ন থাকে, তাঁরা নানান ধরনের বাহন সুখ লাভ করেন। বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে এমন জাতক।

* যে পুরুষ বা স্ত্রীর পায়ে চক্র ছাড়াও পদ্ম, ধনুক, রথ বা সিংহাসনের চিহ্ন থাকে, তাঁরা সারা জীবন জমি-বাড়ির সুখ সুবিধা উপভোগ করে যান।

Financial Progress: রাশি অনুযায়ী এই নিয়ম মেনে চলুন, নতুন অর্থবর্ষে হবে আর্থিক উন্নতি
* যে জাতকের বুকে চুল থাকে তাঁরা সন্তুষ্ট থাকেন। এমন জাতক সাধারণত ধনী হন। আবার ধনী না-হলেও সুখে জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থাকে এঁদের কাছে।

* যে জাতকের হাতে পাঁচটির পরিবর্তে ৬টি আঙুল থাকে, তাঁদের ভাগ্য অত্যন্ত ভালো হয়। সমস্ত কিছুতে অধিক লাভ অর্জন করেন। কাজে তদন্ত করতে ভালোবাসেন। তবে এঁরা অত্যন্ত সৎ ও পরিশ্রমী হন।

* যে জাতকদের মাথার ডান অংশে তিল থাকে, তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত মজবুত হয়। আবার ডান গালে তিল থাকলেও জাতক ধনী হবে বলে মনে করা হয়।

ধনীতম ভারতীয়দের অর্ধেকই এই ৩ রাশির জাতক! আপনার রাশি কী?
* অঙ্গুষ্ঠয়বৈরাঢয়াঃ সুতবন্তোঙ্গুষ্ঠমূলগ্যাশ্চ যবৈঃ।

দীর্ঘাঙ্গলিপবার্ণ সুভগো দীর্ঘায়ুষশ্চৈব।।

অর্থাৎ, ধনী ব্যক্তির বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে যবের চিহ্ন থাকে। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের গোড়ার যবের চিহ্ন থাকলে জাতক পুত্রবান হন। আঙুলের পর্ব লম্বা হলে ব্যক্তি ভাগ্যশালী হয় ও দীর্ঘায়ু লাভ করে।

* স্নিগ্ধা নিত্না রেখা র্ধাননাং ব্যব্যয়েন নিঃস্বনাম্।

বিরলাঙ্গলয়ো নিঃস্বা ধনসজ্জায়িনো ঘনাঙ্গলয়ঃ।।

অর্থাৎ ধনী ব্যক্তির হাতের রেখা মসৃণ ও গভীর হয়। দরিদ্রদের এমন থাকে না। আঙুলের মাঝে দূরত্ব বেশি থাকলে জাতক ধনহীন হন ও ঘন আঙুলের জাতক ধন সঞ্চয় করে থাকেন।

* মকর-ধ্বজ-কোষ্ঠাগার-সন্নিভার্ভর্মহাধনোপেতাঃ।

বেদীনিভেন চৈবাগ্রিহোত্রিণো ব্রহ্মতীর্থম।।

অর্থাৎ, যে জাতকের হাতে মকর, ধ্বজ, কোষ্ঠ, মন্দির চিহ্ন বিশেষে রেখা থাকে, তাঁরা মহাধনী হয়। আবার ব্রহ্ম তীর্থ অথবা বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের গোড়ায় বেদীর চিহ্ন থাকলে জাতক অগ্নিহোত্রী হয়।

* চক্রাসি-পরশু-তোমর-শক্তি-ধনুঃ-কুন্তাসন্নিভা রেখা।

কুর্বন্তি চমূনার্থং যজ্বানমুলূখলারাপ।।

অর্থাৎ, যে জাতকের হাতে চক্র, তলোয়ার, ফরসা, তোমর, শক্তি, ধনুক ও বরসির মতো চিহ্ন থাকে, সেই জাতক সেনা, পুলিশ ইত্যাদির উচ্চপদে কর্মরত হন। ওখরির মতো রেখা থাকলে, সেই পুরুষ নিয়ম মেনে যজ্ঞ করে থাকেন।

* বাপী-দেবগৃহাধ্যৈর্ধর্মং কুর্বন্তি চ ত্রিকোণাভিঃ।

অঙ্গুষ্ঠমূলরেখাঃ পুত্রাঃ স্যুর্দারিকাঃ সূক্ষ্মা।।

অর্থাৎ, যদি কোনও জাতকের হাতে বাওলি, দেবমন্দির অথবা ত্রিভূজের চিহ্ন থাকে, সেই ব্যক্তি ধর্মাত্মা হয়। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের মূলে মোটা রেখা পুত্র, ও সূক্ষ্ম রেখা কন্যার।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রমণা গোস্বামী
"শ্রমণা গোস্বামী ১৫ বছরেরও বেশি সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় প্রথম কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। নিউজ ও নন-নিউজ, উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রমণা। বিভিন্ন বিষয়কে সবার কাছে সহজ সরল ও যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে তুলে ধরে মিডিয়া জগতের একজন পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। নিজের বর্তমান সেকশনে প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছেন শ্রমণা। নিজের গণ্ডীর বাইরে বেরিয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর তাগিদ সব সময় কাজ করে তাঁর মধ্যে। মানুষকে গল্প শোনানো ও নতুন নতুন বিষয় জানানোর প্রতি তাঁর আগ্রহ শ্রমণাকে তাঁর কাজের প্রতি আরও যত্নশীল ও নিখুঁত করে তুলেছে। নিজের পেশাগত জীবনের বাইরে শ্রমণার নেশা বই পড়া। নানা ধরনের বই পড়ার পাশাপাশি হালফিলের ওয়েব সিরিজ দেখেও অবসর সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। নানা বিষয়ের প্রতি আগ্রহই তাঁর সৃজনশীলতাকে সজীব করে রাখে সব সময়। নিজের কাজ ও জীবনধারার প্রতি স্বচ্ছ ও তাজা দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অধিকারী মিডিয়া প্রফেশনাল শ্রমণা গোস্বামী নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল ও দায়িত্ববান। "... আরও পড়ুন

পরের খবর

ট্রেন্ডিং