এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের দরংয়ে অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ অভিযানের নাম করে হিংসার ঘটনা ঘিরে তোলপাড়। এর নেপথ্যে এবার উগ্র ইসলামিক দলকেই দায়ী করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সেদিনের গুলি চালানোর ঘটনার পুরো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এই ঘটনা কোনও সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, Popular Front of India (PFI) নামে একটি উগ্র ইসলামিক দলই এই ঘটনার জন্য দায়ী। গত বৃহস্পতিবার দরং জেলার ঢোলপুরের গরুখুঁটি এলাকায় বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করার নামে অভিযান চালায় পুলিশ।উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশের দাবি, তাঁদের উপরে অতর্কিতে হামলা করা হয়।তাঁরাও আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলে দাবি পুলিশের। এই হামলায় মৃত্যু হয় তিন স্থানীয় বাসিন্দার। পাশাপাশি, নয়জন পুলিশ কর্মী সহ মোট ১৫ জন আহত হয়। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অসমের সরকার। গুয়াহাটি হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ওই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে. পুরো ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেছে কংগ্রেস।
এদিন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেন, ‘রাজ্য সরকারের কাছে প্রমাণ আছে, গত কয়েকমাসে একটি দলের লোকজন ওই এলাকার বসবাসকারী মানুষের কাছে ২৮ লাখ টাকা আদায় করে। তারাই ওই বাসিন্দাদের বোঝায় সেখানে কোনও উচ্ছেদ করা হবে না। কারা এই কাজ করে তাদের নামও আমাদের কাছে রয়েছে। যখন তারা দেখল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, সেই সময় তারা লোকজনকে জড়ো করে হিংসাত্মক কাজ শুরু করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ ওই অভিযান চালানোর আগের দিন সেখানে খাবার দেওয়ার নাম করে PFI-র লোকজন গিয়েছিল । সব কিছুই তদন্তে উঠে আসবে। আমরা ওই PFI-কে নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছি।’
ওই এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমরা ৬০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে ১০ হাজার লোক এল কী করে? এত সংখ্যক মানুষ ২৭ জন পুলিশ কর্মীকে ঘিরে ধরে। যে সব পুলিশকর্মী আহত হয় তাদের মধ্যেও মুসলিম ধর্মের লোকও আছে।’
এদিন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেন, ‘রাজ্য সরকারের কাছে প্রমাণ আছে, গত কয়েকমাসে একটি দলের লোকজন ওই এলাকার বসবাসকারী মানুষের কাছে ২৮ লাখ টাকা আদায় করে। তারাই ওই বাসিন্দাদের বোঝায় সেখানে কোনও উচ্ছেদ করা হবে না। কারা এই কাজ করে তাদের নামও আমাদের কাছে রয়েছে। যখন তারা দেখল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, সেই সময় তারা লোকজনকে জড়ো করে হিংসাত্মক কাজ শুরু করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ ওই অভিযান চালানোর আগের দিন সেখানে খাবার দেওয়ার নাম করে PFI-র লোকজন গিয়েছিল । সব কিছুই তদন্তে উঠে আসবে। আমরা ওই PFI-কে নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছি।’
ওই এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমরা ৬০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে ১০ হাজার লোক এল কী করে? এত সংখ্যক মানুষ ২৭ জন পুলিশ কর্মীকে ঘিরে ধরে। যে সব পুলিশকর্মী আহত হয় তাদের মধ্যেও মুসলিম ধর্মের লোকও আছে।’