Assam Tree Library : গাছের শাখায় আস্ত লাইব্রেরী, বইবিমুখ জেনারেশনকে টানতে বিশেষ উদ্যোগ অসমে
অসমের যোরহাট এলাকার একটি স্কুল এবার অভিনব উদ্যোগের সূচনা করেছে। পড়ুয়াদের লাইব্রেরীমুখী করতে তার সাথে সাথে স্কুলের ছাত্রীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে ‘গাছ লাইব্রেরী’ গড়ে তোলা হয়েছে।
হাইলাইটস
- পড়ুয়াদের লাইব্রেরীমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে অসমের একটি স্কুল।
- অসমের যোরহাট এলাকার Mariani-র একটি গার্লস হাইস্কুলে গাছকেই বানিয়ে তোলা হয়েছে লাইব্রেরি।
- স্কুলের ছাত্রীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে।
গাছেই লাইব্রেরি ! সোশাল মিডিয়া, ফেসবুক , ইন্সটাগ্রামের যুগে এখন প্রায় সকলেই বই বিমুখ। বিশেষ করে নতুন জেনারেশন। Kindle বা ইন্টারনেটেই পড়ে নেওয়া যায় বই, জেনে নেওয়া যায় দরকারি তথ্য। আগে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য জানার জন্য একমাত্র ভরসা ছিল লাইব্রেরি। এখন স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের আর সামান্য তথ্যের জন্য লাইব্রেরি যাওয়ার দরকার নেই। কেরিয়ার গড়ার জন্য পড়াশোনার বাইরে অন্য কিছু পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। এই সময়েই পড়ুয়াদের লাইব্রেরীমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে অসমের একটি স্কুল। অসমের যোরহাট এলাকার Mariani-র একটি গার্লস হাইস্কুলে গাছকেই বানিয়ে তোলা হয়েছে লাইব্রেরি। স্কুলের ছাত্রীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে। ওই স্কুলের অনুমতি নিয়েই এই ‘গাছ লাইব্রেরী’ গড়ে তুলেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেখানে অসমীয়া, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় উপন্যাস, কমিকস, আত্মজীবনী সহ বিভিন্ন ধরনের বই রাখা হয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এই লাইব্রেরী করা হয়েছে। গাছের বা খোলা আকাশের নিচে, মুক্ত পরিবেশে ওই বই পড়তে পারছে ছাত্রীরা।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি দীপিকা পোদ্দার বলেন, “ স্কুলের কাছে অনুমতি পাওয়ার পরে আমরা একজন কাঠমিস্ত্রি নিয়ে আসি। নানা বাতিল জিনিস, কন্টেনার দিয়ে বইয়ের তাক করা হয়। প্রায় ৬০০টি বই আছে ওই লাইব্রেরিতে।” তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসেই এই লাইব্রেরী করা হয়েছে। তারপরেই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে ছাত্রীদের। পছন্দের বই নিয়ে তারা গাছের তলায় এখন বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকছে। JCI Femina নামের এই সংস্থার সম্পাদক শিবানী আগরওয়ালা জানান, এই লাইব্রেরী করার জন্য তাদের খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
মইরানির ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা বনিতা তাঁতি জানান, ওই স্কুলে এখন ৪২২ জন ছাত্রী আছে। এই রকম লাইব্রেরীর পরে তারা বেশির ভাগই, গল্পের এবং পছন্দের বই পড়ছেন। তিনি জানান, লাইব্রেরীতে ছাত্রীদের পছন্দ এবং চাহিদা মতন বইয়ের সংখ্যা বাড়ানোর এবং সেখানে একজন শিক্ষক রাখার চিন্তাভাবনা করছেন তারা। স্কুলের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করলেও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা।
সেখানের পরিবেশ প্রেমী মৃদু পবন ফুকান বলেন, “ এই উদ্যোগ ভালো। এতে পড়ুয়ারা বইয়ের প্রতি আবার আগ্রহ ফিরে পাবে। কিন্তু তারা গাছগুলিকে বাদ দিতে পারত। গাছের জায়গায় বাঁশ বা ধাতুর তৈরি খুঁটি ব্যবহার করতে পারত। বই রাখার জন্য তাক গাছে আটকানোর জন্য গজাল জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে। এতে গাছের ক্ষতি হবে। সেই সঙ্গে ইকোসিস্টেমের ওপর প্রভাব পড়বে। সেখানে তাক না পুঁতে দড়ি ব্যবহার করা যেতে পারত। ”
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি দীপিকা পোদ্দার বলেন, “ স্কুলের কাছে অনুমতি পাওয়ার পরে আমরা একজন কাঠমিস্ত্রি নিয়ে আসি। নানা বাতিল জিনিস, কন্টেনার দিয়ে বইয়ের তাক করা হয়। প্রায় ৬০০টি বই আছে ওই লাইব্রেরিতে।” তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসেই এই লাইব্রেরী করা হয়েছে। তারপরেই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে ছাত্রীদের। পছন্দের বই নিয়ে তারা গাছের তলায় এখন বইয়ে বুঁদ হয়ে থাকছে। JCI Femina নামের এই সংস্থার সম্পাদক শিবানী আগরওয়ালা জানান, এই লাইব্রেরী করার জন্য তাদের খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
মইরানির ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা বনিতা তাঁতি জানান, ওই স্কুলে এখন ৪২২ জন ছাত্রী আছে। এই রকম লাইব্রেরীর পরে তারা বেশির ভাগই, গল্পের এবং পছন্দের বই পড়ছেন। তিনি জানান, লাইব্রেরীতে ছাত্রীদের পছন্দ এবং চাহিদা মতন বইয়ের সংখ্যা বাড়ানোর এবং সেখানে একজন শিক্ষক রাখার চিন্তাভাবনা করছেন তারা। স্কুলের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করলেও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা।
সেখানের পরিবেশ প্রেমী মৃদু পবন ফুকান বলেন, “ এই উদ্যোগ ভালো। এতে পড়ুয়ারা বইয়ের প্রতি আবার আগ্রহ ফিরে পাবে। কিন্তু তারা গাছগুলিকে বাদ দিতে পারত। গাছের জায়গায় বাঁশ বা ধাতুর তৈরি খুঁটি ব্যবহার করতে পারত। বই রাখার জন্য তাক গাছে আটকানোর জন্য গজাল জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে। এতে গাছের ক্ষতি হবে। সেই সঙ্গে ইকোসিস্টেমের ওপর প্রভাব পড়বে। সেখানে তাক না পুঁতে দড়ি ব্যবহার করা যেতে পারত। ”