অ্যাপশহর

Drinking Water: বিজেপি শাসিত অসমে মেলে না পরিশ্রুত পানীয় জল, কেন্দ্রের নথিতে হইচই

বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই পান না পরিশ্রুত পানীয় জল। সেই তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে অসমের নাম। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের দেওয়া তথ্যে অস্বস্তিতে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার।

Produced byঅভিষেক রায়চৌধুরী | EiSamay.Com 18 Mar 2023, 10:21 pm
ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় ট্যাপের মাধ্যমে পানীয় জল (Tapped drinking water) পৌঁছে দেওয়া হবে । কিন্তু এই কাজে অনেক পিছিয়ে আছে BJP-শাসিত একাধিক রাজ্য।
EiSamay.Com Representative Picture
প্রতীকী ছবি। (সৌজন্য: pixabay)


যে সমস্ত রাজ্যের ‘ পারফরম্যান্স’ খুব খারাপ সেই রাজ্যগুলির তালিকায় আছে অসমও। অসমের সঙ্গেই পিছিয়ে আছে বিহার, ঝাড়খণ্ড , ওড়িশা এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যও।

পানীয় জল দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত রাজ্য সবচেয়ে খারাপ পারফর্মার (worst performers) সেই তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর বা National Statistical Office ।

BJP In West Bengal : ঝান্ডা বওয়ার লোক নেই, পদ্মে-ভরসা ভার্চুয়াল কর্মী
জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে, যে সমস্ত রাজ্যের প্রায় ৯০ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না সেই তালিকায়ু আছে মনিপুর এবং নাগাল্যান্ড। বিহার, ঝাড়খন্ড এবং ওডিশা রাজ্যে গ্রামীণ শৌচালয় থাকলেও পানীয় জল সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব খারাপ অবস্থা।

জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে, ২০২০ সালেই এই সমীক্ষা চালানোর কথা থাকলেও করোনার কারণে তা ২০২১ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার বাড়িতে এবং শহরাঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার বাড়িতে এই সমীক্ষা করা হয়। শুধুমাত্র পানীয় জল নয়, একাধিক বিষয় নিয়ে ওই সমীক্ষা চালানো হয়। তার ওপর ভিত্তি করেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

Sikkim Tourism : মার্চেও দেখা মিলছে বরফের, সিকিম পর্যটকের ঢল
তাতে বলা হয়েছে, দেশের ৯৫.৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তাঁরা উন্নতমানের পানীয় জল পাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও অনেক রাজ্যের পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল দেওয়ার হার খুব খারাপ। জানানো হয়েছে, তিনটি রাজ্যে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি মানুষের বাড়িতে শৌচালয় নেই। গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ২১.৩ শতাংশ বাড়িতে পায়খানা নেই।

কেন্দ্র ‘উজালা’ প্রকল্পে রান্নার গ্যাস দেওয়ার এবং সাফল্যর কথা বললেও বাস্তব একেবারে উল্টো। ওই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ভারতের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা এখনও কাঠের উনুনে রান্না করেন। এই তালিকায় ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে নাম আছে পশ্চিমবঙ্গেরও।

Timber Smuggling : কাঠ পাচার রুখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! বনের মধ্যে 'গ্রিন করিডর'-ও তৈরি চক্রের
ওই সমীক্ষা চলাকালীন সময়ে দেখা গিয়েছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীর মধ্যে ১৬.১৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩.৮ শতাংশ মহিলা স্কুলে বা কর্মক্ষেত্রে যেতেন না। তাঁরা সেই সময়ে কাজের জন্য কোনও ট্রেনিংও নেননি। শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে মহিলারাই এগিয়ে তাও জানানো হয়েছে।

দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় অর্ধেকের হাতেই মোবাইল ফোন আছে তাও উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায়। প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাদের অ্যাকাউন্ট আছে। অনেক মোবাইল সংস্থা এখন ব্যাঙ্কের মতই কাজ করে। সেখানেও অনেকেই অ্যাকাউন্ট করেছেন। তার মধ্যে যুবকদের সংখ্যাই বেশি। সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশ যে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে চলেছে এটা তারই ইঙ্গিত দিয়েছে।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
অভিষেক রায়চৌধুরী
২০০৮ সালে সংবাদমাধ্যমে অভিষেক হয় অভিষেকের। খবরের খোঁজে কখনও আমেঠির নির্বাচন, কখনও আবার লখনউয়ে নরেন্দ্র মোদীর পদযাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন। শহর কলকাতার খবর সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে আমরি হাসপাতাল অগ্নিকাণ্ড, নন্দরাম বা বাগড়ি মার্কেটের আগুন থেকে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়া, বড়বাজারে মেট্রো প্রকল্পে ধস। প্রিন্ট থেকে টিভি চ্যানেল এবং ডিজিটাল মাধ্যম, সবেতেই স্বচ্ছন্দ অভিষেক। অবসরে মজে থাকেন সাহিত্যপাঠ, সিনেমা, গান, শ্রুতি নাটক, রেডিওয় গল্পপাঠের আসর আর পডকাস্ট নিয়ে।... আরও পড়ুন

পরের খবর