বন্যা পরিস্থিতিতে কার্যত ভাসছে অসম। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। অসমের ২৬টি জেলা বানভাসি। চার লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে নেমেছে সেনা। বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাছাড় ও ডিমা হাসাও এলাকায়। অনেক জায়গায় রেললাইনে ধস নামার কারণে প্রায় ৩০টি ট্রেন বাতিল করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
এদিকে, অসমে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (ASDMA) জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্গতদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। কাছাড় ও অন্য এলাকাতে এক হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানোর পরে বুধবার সকাল থেকে ফের কাজ শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, সেখানের একাধিক জায়গায় রাস্তা, রেললাইন ধসে গিয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট। বানভাসী এলাকায় দুর্গতদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজও করা হচ্ছে। অনেককেই নিয়ে আসা হচ্ছে ত্রাণকেন্দ্রেও। ASDMA জানিয়েছে, সেখানে কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক লাখ বিঘা জমি জলের তলায়। ৯০টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার জন মানুষ।
নিউ হাফলঙে টানা বর্ষণের রেললাইনে ধসের জেরে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন প্রায় ২৮০০ যাত্রী। কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করা হল।বায়ুসেনার কপ্টারে করে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল। বন্যা পরিস্থিতিতে কার্যত বানভাসি ৬৫২টি গ্রাম। ১৬৬৪৫.৬১ হেক্টর জমি জলের তলায় ডুবে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে মাথায় হাত কৃষকদের। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নগাঁও জেলায় কপিলি নদীর জলস্তরও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বেশ কয়েকটি গ্রামে ধস নেমেছে।