এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে পার হয়ে গিয়েছে পঁচিশটা বছর। আবার নিজেদের ঘরে ফিরতে চলেছেন ঘরছাড়া সাঁওতাল এবং বোরোরা। ২৫ বছর আগে নিজেদের মধ্যে দাঙ্গা করে, লড়াই করে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন অসমের এই দুই আদিবাসী জনজাতির বাসিন্দারা। এবার তাঁদের ঘরে ফেরার পালা। ১৯৯৬ সালে ওই দাঙ্গার পরে তাঁদের অনেকেই ছিলেন ত্রাণ শিবিরে। কেউ আবার অন্য জায়গায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। অসমের Bodoland Territorial Council (BTC) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা এতদিন ঘরছাড়া হয়ে ছিলেন তাঁদের আগামী তিনমাসের মধ্যেই গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।
এই বোরোল্যান্ড এলাকাতে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১২ সালে ওই দাঙ্গা হয়। বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান প্রমোদ বোরো বলেন, 'আমরা এই এলাকাতে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছি। ওই দাঙ্গায় যারা ঘরছাড়া হয়েছিলেন তাদের আবার গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসব। ২৫ বছর ধরে তারা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। এটা খুব দুঃখের। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাঁও এলাকার সাঁওতাল এবং বোরো উপজাতির লোকদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তারপরে বাকিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।'
জানা গিয়েছে, ওই দাঙ্গার সময়ে অনেকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাদের বাড়ি ঠিক ছিল, গত ২৫ বছর ধরে সেখানে কেউ না থাকায় সেই বাড়িগুলিও নষ্ট হয়েছে।
প্রমোদ বোরো জানান, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এই মানুষরা এতদিন গ্রাম ফেরেননি। এই সব গ্রামে পুলিশ ফাঁড়িও করে দেওয়া হবে। তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সেখানে বাড়িও করে দেবেন।
১৯৯৬ সালের ওই দাঙ্গার কারণে প্রায় আড়াই লাখ লোক ঘরছাড়া হন। শতাধিক মানুষ মারা যান ওই লড়াইয়ে। ১৯৯৮ সালে আবার সেখানে লড়াই শুরু হলে আরও মানুষ ভয়ে গ্রাম ছাড়েন। সেই সময়ে ওই এলাকাতে জঙ্গিবাদ চরমে ওঠে। ২০১৪ সালে National Democratic Front of Bodoland জঙ্গিরা সেখানে ফের আক্রমণ করে। তাতে অন্তত ৭৬ জন মারা যায়। এরই পাশাপাশি সেখানে একাধিকবার বোরো এবং বাংলাভাষী মুসলিমদের মধ্যে লড়াই হয়। তাতেও প্রচুর লোক মারা যান এবং অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়েন।
যারা এক সময়ে জঙ্গি ছিলেন তাদের প্রায় ১৬০০ জন আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য অসম সরকার ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও এই এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
এই বোরোল্যান্ড এলাকাতে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১২ সালে ওই দাঙ্গা হয়। বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান প্রমোদ বোরো বলেন, 'আমরা এই এলাকাতে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছি। ওই দাঙ্গায় যারা ঘরছাড়া হয়েছিলেন তাদের আবার গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসব। ২৫ বছর ধরে তারা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। এটা খুব দুঃখের। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাঁও এলাকার সাঁওতাল এবং বোরো উপজাতির লোকদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তারপরে বাকিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।'
জানা গিয়েছে, ওই দাঙ্গার সময়ে অনেকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যাদের বাড়ি ঠিক ছিল, গত ২৫ বছর ধরে সেখানে কেউ না থাকায় সেই বাড়িগুলিও নষ্ট হয়েছে।
প্রমোদ বোরো জানান, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এই মানুষরা এতদিন গ্রাম ফেরেননি। এই সব গ্রামে পুলিশ ফাঁড়িও করে দেওয়া হবে। তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সেখানে বাড়িও করে দেবেন।
১৯৯৬ সালের ওই দাঙ্গার কারণে প্রায় আড়াই লাখ লোক ঘরছাড়া হন। শতাধিক মানুষ মারা যান ওই লড়াইয়ে। ১৯৯৮ সালে আবার সেখানে লড়াই শুরু হলে আরও মানুষ ভয়ে গ্রাম ছাড়েন। সেই সময়ে ওই এলাকাতে জঙ্গিবাদ চরমে ওঠে। ২০১৪ সালে National Democratic Front of Bodoland জঙ্গিরা সেখানে ফের আক্রমণ করে। তাতে অন্তত ৭৬ জন মারা যায়। এরই পাশাপাশি সেখানে একাধিকবার বোরো এবং বাংলাভাষী মুসলিমদের মধ্যে লড়াই হয়। তাতেও প্রচুর লোক মারা যান এবং অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়েন।
যারা এক সময়ে জঙ্গি ছিলেন তাদের প্রায় ১৬০০ জন আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য অসম সরকার ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও এই এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।