তুর্কি, সিরিয়া, নিউজিল্যান্ডের পর এবার ফিলিপিন্সও ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। বৃহস্পতিবার খুব ভোরে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে আফটার শকের সতর্কতা জারি করা হয়। এর জেরে বড় রকমের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টো নাগাদ কেঁপে ওঠে ফিলিপিন্সের মাসবাতে প্রদেশ। মধ্যরাতে ভূমিকম্প হওয়ায় ঘুম ভেঙে যায় বাসিন্দাদের। গোটা এলাকা কাঁপতে থাকায় রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের এপিসেন্টার মাসবাতে প্রদেশের উসন পুরসভার মিয়াগা গ্রাম। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিমি গভীর ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল।
মাসবাতে প্রদেশের পুলিশ প্রধান রোলি আলবানা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা যথেষ্ট বেশি ছিল। সাধারণ এই ধরনের ভূমিকম্পে ফিলিপিন্সের মতো দ্বীপরাষ্ট্রে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবারের কম্পনের পর সেই সতর্কতা জারি করা হয়নি।
অন্যদিকে উসন পুলিশের প্রধান রেডেন টোলেডোর কথায়, মাঝরাতে ভূমিকম্প হওয়ায় বাসিন্দারা এতোটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে তাঁদের অনেকেই চিৎকার করতে করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
“ওই সময় আমিও বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। আফটার শকের জেরেই যে এটা হয়েছে, তা বুঝতে পেরেছিলাম।” ভূমিকম্পের পর বলেন পুলিশের প্রধান টোলেডো।
ভূমিকম্পের পর এলাকা পরিদর্শনে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে পাঠানো হয়। গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফাটল পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে এই বাহিনী। এছাড়াও স্কুল ও সরকারি ভবন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে এই খবর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেনের মধ্যেই তীব্র ভূমিকম্প হয় নিউজিল্যান্ডে। সেখানেও কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। নিউজিল্যান্ডের পারাপারাউমুর এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৭.৪ কিলোমিটার গভীরে। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই ভূমিকম্প হওয়ায় বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। তবে নিউলিল্যান্ডের বাড়ি ভেঙে পড়া বা জীবনহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মারাত্মক ভূমিকম্প হয় তুর্কি ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭-র বেশি। সেই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এই দেশে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও NDRF-র টিম।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের এপিসেন্টার মাসবাতে প্রদেশের উসন পুরসভার মিয়াগা গ্রাম। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিমি গভীর ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল।
মাসবাতে প্রদেশের পুলিশ প্রধান রোলি আলবানা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা যথেষ্ট বেশি ছিল। সাধারণ এই ধরনের ভূমিকম্পে ফিলিপিন্সের মতো দ্বীপরাষ্ট্রে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবারের কম্পনের পর সেই সতর্কতা জারি করা হয়নি।
অন্যদিকে উসন পুলিশের প্রধান রেডেন টোলেডোর কথায়, মাঝরাতে ভূমিকম্প হওয়ায় বাসিন্দারা এতোটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে তাঁদের অনেকেই চিৎকার করতে করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
“ওই সময় আমিও বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। আফটার শকের জেরেই যে এটা হয়েছে, তা বুঝতে পেরেছিলাম।” ভূমিকম্পের পর বলেন পুলিশের প্রধান টোলেডো।
ভূমিকম্পের পর এলাকা পরিদর্শনে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে পাঠানো হয়। গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফাটল পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে এই বাহিনী। এছাড়াও স্কুল ও সরকারি ভবন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে এই খবর প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেনের মধ্যেই তীব্র ভূমিকম্প হয় নিউজিল্যান্ডে। সেখানেও কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। নিউজিল্যান্ডের পারাপারাউমুর এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৭.৪ কিলোমিটার গভীরে। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই ভূমিকম্প হওয়ায় বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। তবে নিউলিল্যান্ডের বাড়ি ভেঙে পড়া বা জীবনহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মারাত্মক ভূমিকম্প হয় তুর্কি ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭-র বেশি। সেই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এই দেশে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা ও NDRF-র টিম।