এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বিদায় নিলেও, তাকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে চাপানউতর থামছে না। ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) যোগ না দেওয়া নিয়ে এবার সোচ্চার হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে টুইট করে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক যে মুখ্যমন্ত্রী বয়কট করতে চলেছেন, তার আভাস আগেই মিলেছিল বলে টুইট করে শোরগোল ফেলে দিলেন ধনখড়। বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি থাকবেন না, এ কথা রাজ্যপালকে আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'ভুল বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে, তাই জানিয়ে রাখতে চাই, ২৭ মে রাত ১১টা ১৬ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী আমায় মেসেজ করেন। তিনি লিখেছিলেন, 'আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? জরুরি'। তারপর ফোনে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ওই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি ও তাঁর আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠক বয়কট করবেন। অহং বোধের কাছে হেরে গেল নাগরিক পরিষেবা'।
এতেই থামেননি রাজ্যপাল। আরও একটি টুইটে ধনখড় লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দীর্ঘ ইতিহাসে ২৮ মে কালো দিন হিসেবে থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে'।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'অনুতাপের সঙ্গে দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব যেভাবে প্রধানমন্ত্রী, ভারত সরকারকে অপমান করেছেন, সেই নিন্দার ভাষা নেই। অনেক অসত্য কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁকে স্মরণ করাতে চাই, তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সংবিধান নাই মানতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও অপমান করেছেন। কোভিড নিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি...উনি পশ্চিমবঙ্গকে একটা দেশ ভাবছেন, আর সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। এই ভাবনা পাল্টাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ একটা রাজ্য। উনি সস্তার রাজনীতি করছেন'।
অন্যদিরে, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেন্দ্র সরকারের প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব। PMO থেকে আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একাধিক টুইট করা হয়। আমার ও মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই টুইট করা হয়'। মমতা আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী অন্য রাজ্যে যাবেন বলে এ রাজ্যে আসেন। আমরা তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেখা করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমার সফর ঘোষণার পর জানতে পারি উনি আসছেন। দুর্গত এলাকায় যাওয়ার কর্মসূচি আমি আগে ঘোষণা করেছিলাম। সংবাদমাধ্যমে অসত্য খবর দেয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। দেখা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।আমাদের কপ্টার আকাশে প্রায় ২০ মিনিট চক্কর কাটে। ১ মিনিট দেখা করতে চাই। আগে বলা হয়েছিল শুধু প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। বৈঠক নিয়ে ঠিকমতো বার্তা দেওয়া হয়নি। পরে দেখলাম বিরোধী দলনেতারা পৌঁছে গিয়েছেন বৈঠকে'।
এতেই থামেননি রাজ্যপাল। আরও একটি টুইটে ধনখড় লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দীর্ঘ ইতিহাসে ২৮ মে কালো দিন হিসেবে থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে'।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'অনুতাপের সঙ্গে দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব যেভাবে প্রধানমন্ত্রী, ভারত সরকারকে অপমান করেছেন, সেই নিন্দার ভাষা নেই। অনেক অসত্য কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁকে স্মরণ করাতে চাই, তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সংবিধান নাই মানতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও অপমান করেছেন। কোভিড নিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি...উনি পশ্চিমবঙ্গকে একটা দেশ ভাবছেন, আর সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। এই ভাবনা পাল্টাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ একটা রাজ্য। উনি সস্তার রাজনীতি করছেন'।
অন্যদিরে, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেন্দ্র সরকারের প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব। PMO থেকে আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একাধিক টুইট করা হয়। আমার ও মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই টুইট করা হয়'। মমতা আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী অন্য রাজ্যে যাবেন বলে এ রাজ্যে আসেন। আমরা তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেখা করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমার সফর ঘোষণার পর জানতে পারি উনি আসছেন। দুর্গত এলাকায় যাওয়ার কর্মসূচি আমি আগে ঘোষণা করেছিলাম। সংবাদমাধ্যমে অসত্য খবর দেয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। দেখা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।আমাদের কপ্টার আকাশে প্রায় ২০ মিনিট চক্কর কাটে। ১ মিনিট দেখা করতে চাই। আগে বলা হয়েছিল শুধু প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। বৈঠক নিয়ে ঠিকমতো বার্তা দেওয়া হয়নি। পরে দেখলাম বিরোধী দলনেতারা পৌঁছে গিয়েছেন বৈঠকে'।