দুই জনেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিকের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব। একদিকে, কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের নেতা রাহুল গান্ধী, অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রথমে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগদান, পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তৃণমূলের থেকে শত যোজন দূরে থেকে কংগ্রেস-সিপিএমের বৈঠক নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। তাহলে কি ‘আমে দুধে মিশে যাওয়ার’ রাস্তা তৈরি হল? দুই দলের গোপন বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট গোপন বৈঠক করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, যুব নেতা শতরুপ ঘোষ ও সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা। রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে মহম্মদ সেলিম বলেন, আমরা ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা সমর্থন করি। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসকে স্বাগত জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকালে ফরাক্কা দিয়ে মুর্শিদাবাদ ঢোকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। রঘুনাথগঞ্জে রাহুল গান্ধী দুপুরের আহার করেন। সেখানেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। রঘুনাথগঞ্জে সিপিএম নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এদিন আবারও একবার প্রমাণিত হল কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছে সিপিএম।
সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের বৈঠক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোন চোখে দেখছেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ‘একলা চলার নীতি’তেই বিশ্বাসী তৃণমূল, এরকমটাই স্পষ্ট করেছেন তিনি। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা বিষয়টি অথৈ জলে।
একদিকে, রঘুনাথগঞ্জে যখন সিপিএম এবং কংগ্রেস রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ব্যস্ত, তখন নদিয়ার সভা থেকে সিপিএমের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। সভা থেকে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলায় আমরা একা লড়ব।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা জোট চেয়েছিলাম। কংগ্রেস করেনি। সিপিএম কংগ্রেসের জোট হয়েছে। বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য। আমি সিপিএম করি না, আমি বিজেপি করি না। আমি মা মাটি মানুষ করি।’
রাহুল - সেলিমের এই বৈঠক নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ যে সিপিএম আদিখ্যেতা করে ছবি তুলছে, তারাই রাহুলের ঠাকুরমাকে বলেছিল ডাইনি; রাহুলের বাবার কার্টুন এঁকে দেওয়াল লিখেছিল: গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপির সঙ্গে হাতও মিলিয়েছিল। এখন একা লড়লে 42 আসনে জমানত জব্দ; তাই পাগলের মত হ্যাংলামি করে বেড়াচ্ছে সিপিএম।’
বৃহস্পতিবার সকালে ফরাক্কা দিয়ে মুর্শিদাবাদ ঢোকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। রঘুনাথগঞ্জে রাহুল গান্ধী দুপুরের আহার করেন। সেখানেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। রঘুনাথগঞ্জে সিপিএম নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এদিন আবারও একবার প্রমাণিত হল কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছে সিপিএম।
সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের বৈঠক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোন চোখে দেখছেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ‘একলা চলার নীতি’তেই বিশ্বাসী তৃণমূল, এরকমটাই স্পষ্ট করেছেন তিনি। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা বিষয়টি অথৈ জলে।
একদিকে, রঘুনাথগঞ্জে যখন সিপিএম এবং কংগ্রেস রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ব্যস্ত, তখন নদিয়ার সভা থেকে সিপিএমের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। সভা থেকে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলায় আমরা একা লড়ব।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা জোট চেয়েছিলাম। কংগ্রেস করেনি। সিপিএম কংগ্রেসের জোট হয়েছে। বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য। আমি সিপিএম করি না, আমি বিজেপি করি না। আমি মা মাটি মানুষ করি।’
রাহুল - সেলিমের এই বৈঠক নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ যে সিপিএম আদিখ্যেতা করে ছবি তুলছে, তারাই রাহুলের ঠাকুরমাকে বলেছিল ডাইনি; রাহুলের বাবার কার্টুন এঁকে দেওয়াল লিখেছিল: গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপির সঙ্গে হাতও মিলিয়েছিল। এখন একা লড়লে 42 আসনে জমানত জব্দ; তাই পাগলের মত হ্যাংলামি করে বেড়াচ্ছে সিপিএম।’