Cheteshwar Pujara Father Had Leaked The Secret Of Success
চেতেশ্বরের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন ক্রিকেটার বাবা
প্রতিদিন নিয়ম করে পুজো এবং প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও সামান্য সময় বের করে ধ্যান৷ চেতেশ্বর পূজারার ধৈর্য্য এবং সংযমের রহস্য ফাঁসে এই দু’টো শব্দই ব্যবহার করলেন পূজারার বাবা অরবিন্দ পূজারা৷
EiSamay.Com19 Mar 2017, 12:46 pm
অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ■ রাঁচি
EiSamay.Comচেতেশ্বরের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন ক্রিকেটার বাবা
প্রতিদিন নিয়ম করে পুজো এবং প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও সামান্য সময় বের করে ধ্যান৷ চেতেশ্বর পূজারার ধৈর্য্য এবং সংযমের রহস্য ফাঁসে এই দু’টো শব্দই ব্যবহার করলেন পূজারার বাবা অরবিন্দ পূজারা৷ শনিবার রাতে রাজকোটের বাড়ি থেকে ফোনে প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার অরবিন্দ বললেন , ‘ও যেখানেই খেলতে যাক না কেন , লাগেজে ঠাকুর -দেবতার ছবি থাকে৷ সঙ্গে ধুপ বা পুজোর সামান্য উপকরণ৷ নিয়ম করে পুজোয় বসে আর ধ্যান করে৷ আজ থেকে নয় , ছোট থেকে৷ ’রাজকোটের বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গেই দেখেছেন ছেলের ইনিংস৷ একবারও ওঠেননি টিভির সামনে থেকে৷ গোটা দেশের মতো তিনিও ছেলের ডাবলের দিকে তাকিয়ে৷ অরবিন্দ বলে দিলেন , ‘এই পুজো -ধ্যান -সংযম , সব ওকে শিখিয়েছে কে জানেন , ওর মা৷ আমার স্ত্রী , মানে ওর মা রিমা আজ আর নেই৷
কিন্ত্ত ছেলেকে যা বলে গিয়েছিলেন , চিন্টু তার একটা শব্দও ভোলেনি৷ ঠাকুরের ছবির সঙ্গে মায়ের ছবিও নিয়ে যায় ও৷ ’ জুড়ে দিলেন , ‘যদি কিছু লেখেন , আমাকে নিয়ে বেশি লিখবেন না৷ ওর মায়ের কথা লিখবেন৷ রিমা ছাড়া পূজারাকে পেতেন না আপনারা৷ ’২০০৫ সালে ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন পূজারার মা৷ মায়ের মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে পারেননি ছেলে৷ ক্লাব ক্রিকেটের একটা ম্যাচ খেলে ফিরতে ঠিক এক ঘণ্টা দেরি করে ফেলেছিলেন৷ সেই কাহিনি আজও ভোলেননি অরবিন্দ৷ বললেন , ‘আমি ওকে বাসস্ট্যান্ড থেকে আনতে গিয়েছিলাম৷ কিছু ওষুধও আনার ছিল৷ ফিরে এসে দেখি , সব শেষ৷ ওই ঘটনা চিন্টুর মনে এমন আঘাত করেছিল , তার পর থেকে নিজেকে আরও বদলে ফেলে৷ ’১১ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিককে নিয়েই এ দিন ছিল আলোচনা৷ অজি শিবিরও যেমন স্বীকার করেছে , পূজারা অসাধারণ ব্যাট করল , তেমনই পূজারার সঙ্গে শুরুতে জুটি বেঁধে ভারতকে প্রাথমিক বিপদ থেকে ব াঁচিয়েছেন যিনি , সেই মুরলী বিজয়ও বললেন , ‘অসম্ভব চাপ নিয়েছিল৷ ও বেশি চাপ নিয়েছিল বলেই আমার খেলা অনেকটা সহজ হয়৷ খোলা মনে খেলতে পেরেছি৷ ’
নিজে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন৷ আক্ষেপ রয়েছে বিজয়ের গলায় , ‘ওটা আমার খুব প্রিয় শট৷ বলও বেশি ঘোরেনি৷ আসলে সেই সময় পরিস্থিতি হয়তো আমার দিকে ছিল না৷ ’দিনটা সত্যিই পূজারারই ছিল৷ তাঁর বাবার কথায় , ‘আমার ছেলে কিন্ত্ত কোনও দিনই দুরন্ত ছিল না৷ ছোট থেকেই সংযমী৷ ওর মা পুজো -ধ্যানের শিক্ষায় সেই সংযম আরও বাড়িয়েছিল৷ একবার অনূর্ধ-১৪ তে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিল৷ পুরো ম্যাচ মাঠে বসেছিলাম আর ভেবেছিলাম , ১৩ বছরের এইটুকু একটা ছেলে এত ধৈর্য্য দেখাচ্ছে কী করে !’ক্রিকেট জীবনে বাবা অরবিন্দই পূজারার কোচ এবং গাইড৷ নিজে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন৷ বললেন , ‘আমার কাছেই ওর ক্রিকেটের হাতেখড়ি৷ ওর প্র্যাক্টিসের জন্য আমরা এক সময় গুজরাত ছেড়ে মুম্বইতেও চলে আসি৷ তারপর তো অনেক কোচ পেয়েছে৷ এখন এত পরিণত হয়ে গিয়েছে , আমার পরামর্শ লাগে না৷ তবু কিছু হলেই ফোন করে আমাকেই ‘কোচ ’ বানিয়ে দেয়৷ ’পূজারার ব্যাটিং টেকনিকের উন্নতিতে এক বাঙালি কোচেরও অবদান আছে৷ সৌরাষ্ট্রের কোচ দেবু মিত্র৷ এক সময় রনজিতে দেবুর কাছ থেকে প্রচুর টিপস পেয়েছেন পূজারা৷ নিজে স্বীকারও করেন সেটা৷
আজ হয়তো ডাবল করবেন পূজারা৷ ব্যাট তুলে আকাশের দিকে তাকাবেন৷ খঁুজবেন মা -কে৷ আর মুচড়ে যাওয়া যন্ত্রণায় আটকে রাখবেন চোখের জল ! পেশাদারদের যে প্রকাশ্যে কাঁদতে নেই !
Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
We use cookies and other tracking technologies to provide services in line with the preferences you reveal while browsing the Website to show personalize content and targeted ads, analyze site traffic, and understand where our audience is coming from in order to improve your browsing experience on our Website. By continuing to browse this Website, you consent to the use of these cookies. If you wish to object such processing, please read the instructions described in our privacy policy/cookie policy.