আমাদের মধ্যে এই সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে। আমায় ও খুব করে বোঝায়। আসলে ও আমায় প্রমিস করে যে এমনটা আর হবে না। ওদের মধ্যে আর কিছুই ঘটছে না। তবে আমার এখনও বিষয়টা ঠিক মনে হয় না। তার অনেক কারণ রয়েছে। আসলে ওরা একই হাসপাতালে কাজ করে। এবার এই পরিস্থিতিতে এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে ওদের মধ্যে সম্পর্ক নেই।
আমাদের মধ্যে বিশ্বাস কমে গিয়েছে। দুজনের মধ্যে কথায় কথায় ঝামেলা হয়। একই বিষয় নিয়ে হতে থাকে ঝামেলা। তবে এখানে একটা ভালো কাজ হয়েছে। ও বুঝতে পেরেছে যে আমি বিশ্বাস করছি না। তাই বাড়ির লোকের সঙ্গে ও আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। আর ও নিজের মতো করেই রোজ কথা বলতে থাকে।
তবে আমার মনে বিশ্বাস ভেঙেছে। আমার মনে সেই পুরনো বিষয়টা বারবার ঘুরতে থাকে। তাই আমি চাইছি যে কোনও উপায়ে সমস্যা থেকে দূরে চলে যাওয়ার। এবার কোনও বিশেষজ্ঞ যদি একটু পরামর্শ দেন যে কী ভাবে আমাদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরে আসবে- (প্রতীকী ছবি)
বিশেষজ্ঞের উত্তর
এই প্রসঙ্গে আত্রেমিস হাসপাতালের হোলিস্টিক মেডিসিন ও সাইকোলজির প্রধান ডা: রচনা খান্না সিং বলেন, আমাদের কাছে লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পারছি যে কী কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আপনি চলছেন। আসলে সম্পর্কে বিশ্বাস থাকাটা খুবই প্রয়োজনীয়। এই বিশ্বাস ছাড়া নিজের মতো করে সম্পর্কে এগিয়ে যাওয়া হয়ে যেতে পারে খুবই কঠিন। এমনকী ওটা তৈরি করাও খুব কঠিন।
ওরা কর্মক্ষেত্রে জড়িয়ে
আমি এই প্রসঙ্গে বলতে পারি যে আপনার গার্লফ্রেন্ড (Girlfriend) ও সেই মানুষটি কর্মক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে জড়়িত। এবার তাঁরা একে অপরের সঙ্গে একদম কথা বলবেন না, এটা হতে পারে না। তাঁদের কাজ করতে গেলে কিছু কথা তো বলতেই হবে। আমি বুঝতে পারছি উনি আপনার বিশ্বাস ভেঙে ফেলেছেন। তবে হতে পারে যে তিনি নিজের সমস্যার কথা বুঝে গিয়েছেন। এমনকী তিনি যে আর সেই কাজ করবেন না, সেটারও নিয়েছেন পণ। আপনি নিজেও তো বলেছেন যে তিনি এখন রহস্যজনক কিছুই করছেন না।
আপনার দিক থেকে সমস্যা
এই সমস্যাটা হচ্ছে আপনার দিক থেকে। আপনি বেরতে পারেছেন না গোটা বিষয়টা থেকে। আর এটা একদম স্বাভাবিক। এবার আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে ভালোবাসার গুরুত্ব আপনার কাছে বড় না ছোট। আপনি কি তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন, না পারেন না। ক্ষমা করতে পারলে সেই দিকে এগিয়ে যান। আর মনে রাখবেন, ভুল সকলেরই হয়।
আবার অন্যদিকে
এটাও হতে পারে যে আপনি বিষয়টা মেনে নিতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে ক্ষমা নাও করতে পারেন আপনি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে খুব ধীরে সুস্থে তাঁকে নিজের মনের কথাটা বলে দিন। কারণ এভাবে সম্পর্কে থাকলে তা কিছুদিন পর খারাপ দিকে এগিয়ে যাবে। তাই এই ভুল নয়। তবে আমি বলব যে কিছুটা সময় আপনি নিজেকে দিন। এমনকী নিজের মতো করে ভেবেই নিন সিদ্ধান্ত।
প্রতিবেদন সৌজন্যে: টাইমস অব ইন্ডিয়া
My girlfriend lied to me about a guy. How do I trust her again?
আরও পড়ুন: "৫৩ বছর বয়সে স্ত্রীকে ধোকা দিয়েছি! অপরাধবোধ হচ্ছে"
আরও পড়ুন: "স্ত্রীর পাশে শুতে পারি না, অন্য ঘরে ঘুমাই"