![5 steps to stop loving a married woman 5 steps to stop loving a married woman](https://eisamay.com/thumb/100821233/5-steps-to-stop-loving-a-married-woman-100821233.jpg?imgsize=102396&width=380&height=214&resizemode=75)
এই যেমন কিছু পুুরুষ সুখে শান্তিতে জীবন কাটানোর বদলে সমস্যার অভিমুখেই দৌড় লাগান। মনের দেওয়ানেওয়া সেরে ফেলেন এমন নারীর সঙ্গে যিনি ইতিমধ্য়েই বিবাহিত। তারপর গুটি গুটি পায়ে শুরু হয় কথাবার্তা। এরপর দুর্ভাগ্যক্রমে সেই কথার পৃষ্টে কথা গিয়ে শেষ হয় ‘ভালোবাসাতে’। একথা ঠিক যে প্রেম অন্ধ। সে গরিব-বড়লোকে ফারাক জানে না। সে বিবাহিত-অবিবাহিতের পার্থক্য় মানতেও নারাজ। তবু সমাজ বলে তো একটা জিনিস আছে। এই দুনিয়া মনের নিয়মে চলে না। চলে দেশ-দশের নিয়মে। যে নিয়মে পরকীয়া পাপ, অচ্ছুৎ।
তাই তো এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে মনে লাড্ডু ফুটলেও ধীরে ধীরে জীবন হয়ে উঠতে থাকে নরকের সমান। নানা রকম বিপদ পিছু নিতে শুরু করে। সমাজে জানাজানি হওয়ার ভয় সবসময় লেগে থাকে। কিছুতেই খোলামেলা জীবনযাপন করা যায় না। তাই তো জ্ঞানী মানুষেরা এমন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সমস্য়া হল, একবার এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তার থেকে বেরিয়ে আসা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু কাজটি কঠিন বলে তো আর হাল ছেড়ে চুপচাপ বসে থাকা যাবে না! বরং এই কয়েকটি টিপস মেনে এমন বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা চালান।
১. ভবিষ্যৎ কী?
৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যত থাকে না। বিবাহিত নারী সাধারণত তাঁর স্বামীর সঙ্গেই থেকে যান। মাঝখান থেকে আপনাকেই গোটা জীবন সম্পর্কের দগদগে ক্ষত সঙ্গে করে বেঁচে থাকতে হবে। সময় বিশেষে নিজেকেই ভুলের জন্য দোষারোপ করবেন। তাই এখনও সময় আছে, শুধরে যান। নিজেকে বোঝান যে এই সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যত নেই। এর থেকে বেরিয়ে আসাই মঙ্গল। এই কৌশলেই কিছুদিন নিজের সঙ্গে শলা পরামর্শ চালিয়ে যান। এতে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে সুবিধা হবে।
২. জানাজানি হলে কী হবে?
আমাদের সমাজ এখন এতটাও আধুনিক হয়ে যায়নি যে পরকীয়াকে মেনে নেবে। তাই কেউ যদি ঘুনাক্ষরেও জানতে পারে যে আপনি অন্যের স্ত্রীকে বোগলদাবা করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাহলে সেই কথা রাষ্ট্র হতে সময় লাগবে না। এরপর আপনার পরিবার ও সেই মহিলার পরিবারের তরফে পাহাড় প্রমাণ চাপ আপনার উপর এসে পড়বে। তখন সামলাতে পারবেন তো? উত্তর ‘না’ হলে এখনই নিজেকে এই সম্পর্ক থেকে সরিয়ে আনুন। এতেই আপনার লাভ।
৩. তাঁকে বোঝানোর দায়িত্ব আপনার
সম্পর্ক থেকে শুধু আপনি বেরিয়ে আসলেই হবে না। আপনার প্রণয়ীকেও ‘বিচ্ছেদ’ মেনে নিতে হবে। নইলে এই সমস্যা কিন্তু অন্য পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেই মহিলার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। তাঁকে ধীরে সুস্থে এই সম্পর্কের নেতিবাচক দিকগুলি বুঝিয়ে বলুন। এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে যে আপনাদের একাধিক জটিল থেকে জটিলতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে, তা তাঁর সামনে তুলে ধরুন। আশা করছি, এই সকল ভয়াবহ সমস্যার কথা শুনলে তিনিও নিজেকে সামলে নেবেন।
৪. যোগাযোগ বন্ধ হলেই বিপদ কাটবে
সম্পর্ক থেকে বেরনোর সিদ্ধান্ত একবার যখন নিয়েই ফেলেছেন, তখন আর মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই। বরং যত দ্রুত সম্ভব এই মহিলার সঙ্গে কথাবার্তা কমিয়ে আনুন। আর আপনার এই পদক্ষেপ সম্পর্কে তাঁকে জানিয়ে দিন। এতেই দেখবেন ধীরে ধীরে তাঁর স্মৃতি মন থেকে কেটে যাচ্ছে। এখন হয়তো কষ্ট হবে। কিন্তু মনে রাখবেন, সময় সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়!! তাই এই নিয়ে অতিরিক্ত বিচলিত হবেন না। কিছুদিন সময় দিলেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
তবে দুর্ভাগ্যক্রমে ভোলার অনেক চেষ্টার পরও আপনার মনে সেই নারীর প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ভুলেও একা থাকবেন না। বরং কাছের বন্ধুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন। তিনি কী পরামর্শ দেন শুনুন। আশা করছি তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর মন হালকা হবে। আপনি নিজের মতো করে ফের একবার নতুন ভাবে বাঁচতে পারবেন। আর সবশেষে অরিজিৎ সিং-এর গলায় শুনে নিন, প্যায়র হোতা হোতা হোতা কয়ি বার হ্যাঁয়- গানটি। এটাই আজকালকার মডার্ন লাইফের সারসত্য মশাই!
আরও পড়ুন: কারও সঙ্গেই কি মিশতে চায় না স্ত্রী? এই নিনজা টেকনিকেই মিলবে এমন সমস্যার হাত থেকে মুক্তি
আরও পড়ুন: আপনার প্রেমিকাকে দু'চোখে দেখতে পারেন না বাবা-মা? তাঁদের মন জিতে নিন এই কৌশলে