ব্যাঙ্ককর্মী বা আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ফোন, মেসেজ বা ই-মেল এলে তার উত্তর না-দিতে বারবারই সচেতন করছে পুলিশ। প্রচার চালাচ্ছে ব্যাঙ্কও। কিন্তু সেই ফাঁদে পড়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিকই।
EiSamay.Com28 Jun 2019, 3:45 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জোড়া প্রতারণার অভিযোগ শহরে। মোবাইলে আসা মেসেজের ফাঁদে প্রায় ৮৮ লক্ষ খোয়ালেন এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ক আধিকারিক। আবার ভুয়ো ই-মেলের ফাঁদে গার্ডেনরিচের এক বাসিন্দা অনলাইন প্রতারণার জালে খুইয়েছেন প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা। কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা এবং সাইবার ক্রাইম থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ আইনজীবী রাজর্ষি রায়চৌধুরী বলছেন, ‘সচেতনতার অভাবেই এমন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বিশিষ্টরা। মূলত বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতির মাধ্যমে এ কাণ্ড প্রতারকরা ঘটাচ্ছে।’
EiSamay.Com
ব্যাঙ্ককর্মী বা আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ফোন, মেসেজ বা ই-মেল এলে তার উত্তর না-দিতে বারবারই সচেতন করছে পুলিশ। প্রচার চালাচ্ছে ব্যাঙ্কও। কিন্তু সেই ফাঁদে পড়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিকই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রাক্তন ব্যাঙ্ক আধিকারিকের কাছে দিনকয়েক আগে একটি অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। তাতে একটি অনলাইন লিঙ্ক দেওয়া ছিল। সেখানে ক্লিক করার পরে একটি অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মে ঢোকেন তিনি। তার পরে ওই পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই গত ১৮ জুন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েক দফায় ৮৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের প্রতারণার অভিযোগ সাম্প্রতিক অতীতে পুলিশের কাছে আসেনি। তবে ঠিক কী ভাবে ওই টাকা হাতানো হয়েছে, তা এখনও তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। দফায় দফায় টাকা হাতানো হলেও কেন আগে তিনি টের পেলেন না, তা-ও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। যে নম্বর থেকে মেসেজ এসেছিল, সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিক পুলিশকে জানিয়েছেন, অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে তাঁকে টাকা দিতে বলায় তাঁর সন্দেহ হয়নি। ওই টাকা কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, তা ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোডের বাসিন্দা শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গত বছর নভেম্বর থেকে বেশ কয়েক দফায় ফোন আসে। কয়েকটি ভুয়ো ই-মেলের মাধ্যমে চাকরি দেওয়া নিয়ে তাঁর বিশ্বাস অর্জনের জন্য কিছু নথিও পাঠানো হয়। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নাম করেও একটি ভুয়ো ই-মেল আইডি তৈরি করে মেল পাঠানো হয়েছিল। সে সব দেখেই তিনি কয়েক দফায় প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা জমা দেন। তার পরে হঠাৎ ওইসব নম্বর ও ই-মেল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি নথিগুলি যাচাই করতে গিয়ে দেখেন, সেগুলি সবই জাল। এর পরে তিনি লালবাজারের দ্বারস্থ হন। দু’টি ক্ষেত্রেই ভুয়ো নথিপত্র জমা দিয়ে মোবাইল নম্বরগুলি চালু করা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। সাইবার বিশেষজ্ঞ বিজিত মণ্ডল বলছেন, ‘নিজেদের বোকামির জেরেই প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা বাড়িয়েছেন দু’জনে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লিফলেট এমনকী বই পর্যন্ত বিলি করে নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। এর পরেও মানুষ না সচেতন হলে সেটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’
Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
We use cookies and other tracking technologies to provide services in line with the preferences you reveal while browsing the Website to show personalize content and targeted ads, analyze site traffic, and understand where our audience is coming from in order to improve your browsing experience on our Website. By continuing to browse this Website, you consent to the use of these cookies. If you wish to object such processing, please read the instructions described in our privacy policy/cookie policy.